দুরারোগ্য পীড়া অথবা কোন ক্রনিক ডিজিসে কেউ আক্রান্ত হলে দেখা যায় আক্রান্ত ব্যক্তি খুব সহসাই সুস্থ হচ্ছেন না। হোমিওপ্যাথি ছাড়া অন্যান্য ট্রিটমেন্ট সিস্টেম মূলত এই সকল সমস্যায় যে লক্ষণগুলি প্রকাশ পায় সেগুলির পেছনের ঠিক কারণটি কি সেটা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করে স্থানিক সেই কারণটি ঠিক করার চেষ্টা করে থাকে। দেখা যায় চিকিৎসা দিলে বা ঔষধ খেলে সেই কারণটি দূর হয়ে যাচ্ছে এবং সাথে সমস্যাটিও ঠিক হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ঔষধ না খেলে সেটি আবার ফিরে আসে। অর্থাৎ স্থায়ীভাবে রোগ আদৌ নির্মূল হচ্ছে না। এই যে স্থায়ী ভাবে রোগ ভালো হচ্ছে না - এর পেছনের প্রকৃত কারণটি মূলতঃ কি?
এর পেছনের প্রকৃত কারণ হলো - আপনার সমস্যাটি বার বার তৈরী করার পেছনে আরেকটি মূল বা প্রকৃত রোগ অর্থাৎ True Disease দায়ী যেটি রয়েছে আপনার DNA তে, আর সেটি জন্মকালীন সময়েই আপনি পেয়েছেন আপনার পিতা-মাতা থেকে।
DNA এবং এর কাজ কি?
- ক্রোমোজোমের গাঠনিক উপাদান হিসেবে কাজ করে।
- বংশগতির আনবিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
- জীবের সকল বৈশিষ্ট্য ধারন করে এবং নিয়ন্ত্রন করে।
- জীবের বৈশিষ্ট্যসমূহ বংশ পরম্পরায় পরবর্তী প্রজন্মে স্থানান্তরিত করে।
- জীবের যাবতীয় বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটায়।
- জীবের সকল শারীরতাত্ত্বিক ও জৈবিক কাজকর্মের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে।
- মিউটেশনের মাধ্যমে প্রকরন সৃষ্টি করে এবং তা বিবর্তনে মুখ্য কাঁচামাল হিসেবে কাজ।
- DNA এর কাঠামোয় গোলোযোগ সৃষ্টি হলে, তা সে নিজেই সংশোধন করে।
বিঃদ্রঃ এখানে কয়েক লক্ষ বছর বলতে, লক্ষাধিক বছরের সেই একই ক্রোমোজোমকে বুঝানো হয়নি বরং এর মাধ্যমে পূর্বেকার বহু বছরের জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল স্থানান্তরিত হয়েছে বুঝানো হয়েছে। ক্রোমােজোমের কাজ হলাে মাতাপিতা থেকে জিন (যা জীবের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে) সন্তান সন্ততিতে বহন করে নিয়ে যাওয়া। আর জীবের সব দৃশ্য এবং অদৃশ্যমান লক্ষণ বা বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী এককের নাম জিন যার অবস্থান জীবের ক্রোমােজোমে।
"That patient has the same disease he had when he was born" - Dr. James Tyler Kent

যতদিন আপনার ভাইটাল ফোর্স শক্তিশালী অবস্থায় থাকবে তত দিন ভেতরের প্রকৃত রোগটি বা জটিল রোগের জেনেটিক মেটেরিয়াল এমনিতেই নিস্তেজ অবস্থায় থাকবে। আর যখন ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হয়ে যাবে তখন ভেতরের সেই True Disease বা প্রকৃত রোগটি প্রকট হয়ে উঠবে অথবা নানা প্রকার উপসর্গ প্রকাশ করে আপনাকে কষ্ট দিবে।
ভাইটাল ফোর্স যে যে কারণে দুর্বল হতে পারে
নিম্নোক্ত কারণে ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হলে রোগ জেগে উঠতে পারে- বিভিন্ন প্রকার ভ্যাকসিন বা টিকা
- হাই-পাওয়ারের ক্ষতিকর সব এন্টিবায়োটিক
- ক্রমাগত বিভিন্ন এলোপ্যাথিক বা রাসায়নিক ঔষধ সেবন
- বড় ধরনের শারীরিক আঘাত
- বড় ধরণের মানসিক আঘাত
আপনাকে ঠিক রাখছে আপনার ভাইটাল ফোর্স এবং শত-সহস্র জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে আপনাকে রক্ষা করে চলেছে আপনার ভাইটাল ফোর্স। শুধু তাই নয়, রোগাক্রান্ত হলে আপনাকে সুস্থ করে তুলছে আপনার ভাইটাল ফোর্স। রোগ হলে আমরা যে ঔষধ প্রয়োগ করি সেগুলি আপনার ভাইটাল ফোর্সকেই সঞ্জীবিত করে তুলে আর ভাইটাল ফোর্সই আপনাকে সারিয়ে তুলে। - এটা মূলতঃ আল্লাহ পাক প্রদত্ত একটি বিশেষ সেটআপ।
ভাইটাল ফোর্সের বৈশিষ্ট
- Spiritual
- Autocratic
- Automatic
- Dynamic
রোগ সৃষ্টিতে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা
ধরুন, কিছু বাসি-পঁচা খাবার খেয়ে আপনার পেটের পীড়া হলো। পঁচা খাবারের সাথে যে জীবানু ছিল সেটি মূলত আপনার DNA তে বর্তমান True Disease গুলি থেকে তার Diathesis কেই অর্থাৎ তার স্বজাতীয় True Disease কেই জাগিয়ে তুলবে। অর্থাৎ রোগ আপনার ভেতরেই রয়েছে আপনি যদি পরিবেশ তৈরী করে দেন তাহলে প্রচ্ছন্ন অবস্থা থেকেও তা জেগে উঠবে।অর্থাৎ ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া কোন রোগ সৃষ্টি করে না, এগুলি হলো রোগের চূড়ান্ত অবস্থার একটি বহিঃপ্রকাশ মাত্র।

আধুনিক বিজ্ঞানে বিভিন্ন রোগের কারণ বা উৎস হিসেবে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াকে দায়ী করা হয় যদিও হোমিওপ্যাথিক বাস্তব অভিজ্ঞতা ভিন্ন করা বলে। হোমিওপ্যাথিক দর্শন অনুসারে, কোন মানুষ অসুস্থ হতে হলে বিশেষ সত্তা অর্থাৎ প্রকট Psoric Miasm এর উপস্থিতি প্রয়োজন। Psoric Miasm প্রকট হলে Vital Force বিশৃঙ্খলাগ্রস্ত (Disordered) হয়। এই বিশৃঙ্খল বা বিকৃতি যখন অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় তখন মানুষটি রোগগ্রস্থ হয়। এই অবস্থায় রক্ত পরীক্ষা করলে বিভিন্ন Virus বা Bacteria এর উপস্থিতির প্রমান পাওয়া যায়।
অন্য কথায় Vital Force যেহেতু অশরীরী (Spiritual), স্বয়ংক্রিয় (Automatic) চিরগতিশীল (Dynamic) একটি সত্তা। সুতরাং বিশৃঙ্খলাগ্রস্ত করতে পারে শুধুমাত্র অনুরূপ জীবন বিরোধী রোগজনক রূপান্তর সাধক অশরীরী সত্তার (Morbific agent inimical to life) গতিশীল প্রভাব (Dynamic influence)।এক্ষেত্রে Vital Force কে বিশৃঙ্খলাগ্রস্ত করতে বা Psoric Miasm কে প্রকট করতে Virus/Bacteria এর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন সম্পর্ক নেই।
Virus বা Bacteria হচ্ছে উদ্ভুত পরিস্থিতি জাত ফল বা রোগজাত সত্তা। রোগের সর্বশেষ বা চূড়ান্ত পরিস্থিতিতে Virus তার আকৃতি এবং প্রকৃতিগত ভয়ঙ্কর সত্তাকে প্রদর্শন করে। চূড়ান্ত পরিস্থিতির কারণ ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া নয় বরং অশরীরী বা অপার্থিব কোন সত্তা।
Had Psora never ben establish as a miasm upon the human race, the other two chronic disease would have been impossible, .... All the diseases of man are build upon psora; hence it is the foundation of sickness; all other sickness came afterwards. -- [James Tyler Kent]প্রকৃতপক্ষে Psora প্রকট হলে Vital Force disordered
Psora বা Psoric Miasm সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা Psora বা Psoric Miasm হচ্ছে কোন মানুষের ভাবনা চিন্তার উর্দ্ধতন বা ক্রমবিকাশ। একটি মানুষের ভাবনা-চিন্তা যতক্ষণ Healthy বা Positive থাকে ঐ মানুষটির মধ্যে অবস্থানকারী Psora বা Psoric Miasm প্রচ্ছন্ন Recessive থাকে। এই সময় জীবন বিরোধী কোন শক্তি ভাইটাল ফোর্সকে বিশৃঙ্খলাগ্রস্থ করতে পারে না। তখন মানুষটি পূর্ণ স্বাচ্ছন্দবোধ উপভোগ করেন এবং মানুষটিকে Healthy Individual বলা যেতে পারে। ক্রমে ক্রমে কোন মানুষের ভাবনা-চিন্তার যখন বিকৃতি হতে থাকে যার অর্থ হলো Psora প্রকট হতে শুরু করে, তখন Vital Force বিশৃঙ্খলাগ্রস্থ হতে শুরু করে অর্থাৎ অসুস্থতা শুরু হয় এবং বাড়তে থাকে। এরপর বিকৃতি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে শরীরযন্ত্রে কষ্টকর অনুভূতিসমূহের সৃষ্টি হয় এবং রকমারী অনিয়মিত ক্রিয়াকলাপের জন্ম হয়, যাকে রোগ Disease বলে অভিহিত করা হয়।
Psora is the evolution of the state of man's will, the ultimate of his sin.কিন্তু ভাইটাল ফোর্সের প্রাথমিক বিশৃঙ্খলাগ্রস্থ অবস্থায় মানুষটির অনুভুতিতে বিরূপ পরিবর্তনের সূচনা করলেও তখনই সেই পরিবর্তন জীবন্ত দেহযন্ত্রে বাহ্যিকভাবে প্রকাশিত হয় না, তবে রোগী নিজে জীবন বিরোধী পরিবর্তন অনুভব করতে পারে। তবে চিকিৎসক যদি যথেষ্ট দূরদর্শী, জ্ঞানী এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হন তাহলে মানুষটির বিভিন্ন বিশৃঙ্খল আচার আচরণ এবং সেগুলির অর্থ ঐ চিকিৎসকের গোচরে আসবেই। আবার আপনারা ইতিমধ্যেই জেনেছেন যে - ভাইটাল ফোর্স অস্বাভাবিকভাবে বিকৃত হলে শরীরযন্ত্রে কষ্টকর অনুভুতিসমূহের সৃষ্টি করে এবং রকমারী অনিয়মিত ক্রিয়াকলাপের জন্ম হয়, যাকে রোগ Disease বলে অভিহিত করা হয়।
ক্রনিক ডিজিসের কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি কি?
সুতরাং আপনারা বুঝতেই পারছেন, প্যাথলজি টেষ্টে ধরা পড়ার সময় বা তার কিছু দিন আগেই কিন্তু কোন রোগ জন্মায় না, রোগের উৎপত্তি হয়েছিল ঐ ব্যাক্তি মাতৃগর্ভে ভ্রূণরূপে জন্ম নেবার সময়, যা রোগীর জেনেটিক হিস্ট্রি ও আচরণ থেকে অনেক আগেই একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক নির্ণয় করতে ও চিকিৎসা দিতে পারেন ।কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, যান্ত্রিক সভ্যতায় নিজেদের অতি আধুনিক মনে করা মানব সমাজ শারীরিক ও মানসিক কষ্টে ভোগার পরেও, কেবলমাত্র যান্ত্রিক প্যাথলজি বা কিছু মেডিক্যাল টেষ্টের ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করে। ততদিনে যা কিছু ধ্বংস হবার তা হয়ে যায়। পরবর্তীকালে তা ঠেকিয়ে রাখতে চিকিৎসার নামে যে সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়, তা মোটেও বাঁচার উপায় নয়। তা তিলে তিলে মৃত্যুরই ছায়া মাত্র বা প্রলয়ঙ্কারী ঝড়ের মাঝে সামান্য পাতার ছাউনি স্বরূপ।
এখন প্রশ্ন হলো "অতি আধুনিক বিজ্ঞান কোনটি?"আবার রোগাক্রান্ত হওয়ার পর, বিভিন্ন ট্রিটমেন্ট সিস্টেম রোগ নির্ণয়ের জন্য শত প্রকার মেডিক্যাল টেস্ট করেই আপনাকে ঔষধ দিচ্ছে কিন্তু আদৌ আপনি ভালো হচ্ছেন না। এর কারণ মূলত আপনার DNA তে থাকা True Disease বা প্রকৃত রোগটি যার চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি ছাড়া আর কোন ট্রিটমেন্ট সিস্টেমই ঠিক ভাবে দিতে পারে না। এই প্রকৃত রোগগুলি ভাইটাল ফোর্সকে কেন্দ্র করে শক্তিশালী বাধা বা দেয়াল তৈরী করে রাখে।
- সারাজীবন ধরে নানাবিধ শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণায় ভোগান্তির চরম সীমায় পৌঁছানোর পরে কয়েক দফায় প্যাথলজি টেষ্টের রিপোর্ট অনুযায়ী রোগ ধরা পড়া?
- নাকি রোগীর শারীরিক, মানসিক, আচরণগত কষ্টের লক্ষণ এবং জেনেটিক হিস্ট্রি ইত্যাদি বিচারে DNA তে থাকা True Disease বা প্রকৃত রোগটি নির্ণয় করে প্যাথলজি টেষ্টের অনেক আগেই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া ব্যাক্তির ভবিষ্যতে ক্যান্সার বা অন্য কোন জটিল রোগ হবার সম্ভাবনা রয়েছে এবং পূর্ববর্তী চিকিৎসার মাধ্যমেই তা আগে থেকেই রোধ করা?

যেহেতু একেক জনের ক্ষেত্রে একেক প্রকার True Disease প্রি-ডোমিনেন্ট থাকে তাই একেক জনের ক্ষেত্রে ভাইটাল ফোর্সকে কেন্দ্র করে তৈরীকৃত বাধার ধরণটাও একেক রকম। দেখবেন, একই রোগে আক্রান্ত হয়েছে অথচ একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম লক্ষণ ও উপসর্গ তৈরি হচ্ছে। একজন দক্ষ হোমিও চিকিৎসক হোমিওপ্যাথির নিয়মনীতি অনুসারে ইনভেস্টিগেশন করে মূলত পেসেন্টের DNA তে প্রি-ডোমিনেন্ট True Disease কে নির্ণয় করবেন এবং সে আলোকেই ডাইনানিক হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন প্রয়োগ করে সবগুলি বাধা ভেঙে আপনার দুর্বল ভাইটাল ফোর্সকে শক্তিশালী করবেন। তখন দেখবেন আপনি যে রোগেই আক্রান্ত থাকেন না কেন আর সেগুলি যত প্রকার উপসর্গই প্রকাশ করুক না কেন একে একে সবগুলি দূর হয়ে আপনার মধ্যে সুস্বাস্থ্য ফিরে আসবে ইনশা-আল্লাহ।
নানা প্রকার সুপারফিশিয়াল বা উপরি উপরি চিন্তা করে অথবা নানা প্রকার মেডিক্যাল টেস্ট করে একটি সমস্যার ঠিক পেছনের কারণটি নির্ণয়ের চেষ্টা করা হয়ে থাকে আর সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্রে। কিন্তু এক্ষেত্রে রোগ কিন্তু কখনও নির্মূল করা সম্ভব হয়না সাময়িক আরাম পাওয়া যায় মাত্র। আমাদের এলোপ্যাথিক সিস্টেমে মূলত রোগের স্থানিক কারণ নির্ণয় করেই চিকিৎসা দেয়া হয়। তাই সেটি না পেলে এলোপ্যাথিতে রোগের চিকিৎসাও হয় না ঠিক ঠাক ভাবে।
এ দেশের অধিকাংশ মানুষই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শাস্ত্র সম্পর্কে খুব ভালো জ্ঞান রাখনে না বিধায় এলোপ্যাথি এবং হোমিওপ্যাথির পার্থক্য তারা বুঝেন না। ক্রনিক রোগের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন প্রয়োগ করতে হয় পেসেন্টের DNA তে সক্রিয় True Disease এর অবস্থার আলোকে। এর জন্য দরকার হোমিওপ্যাথিক প্রিন্সিপ্যাল অনুযায়ী রোগ নির্ণয়। তাই এক্ষেত্রে এলোপ্যাথিতে রোগের স্থানিক কারণ নির্ণয়ের জন্য যে মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়ে থাকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলির তেমন কোন প্রয়োজন পড়ে না। ধন্যবাদ।