বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২

সার্জারি ছাড়াই পাইলস বা অর্শ রোগ থেকে মুক্তির উপায়

অর্শ বা পাইলস সারানোর উপায় এবং সার্জারী বা অপারেশন ছাড়া পাইলস এর চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি এবং সাথে যে জিনিসটি প্রয়োজন সেটি হলো ব্যক্তির জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসা। অর্শ বা পাইলস হলো মলদ্বারের ভেরিকোজ ভেইন অর্থাৎ রেক্টামের নিচের অংশে এবং মলদ্বারে ফুলে যাওয়া এবং ফাঁপা শিরা। এই রোগ হলে মলদ্বারে আঙ্গুর ফলের মতো বলি বের হতে পারে, সাথে রক্তপাত, মলদ্বার ভেজা, চুলকানি এবং জ্বালাযন্ত্রণা থাকতে পারে।

অনেকেই অপারেশন করে অর্শ বা পাইলসের বলি অপসারণ বা কেটে ফেলে এর যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে চায় যদিও ৯৮% ক্ষেত্রেই তা সম্ভব নয়। এই সমস্যায় সার্জারী করলেও সেটা আবার হয়ে যায় বহু ক্ষেত্রেই। কারণ অর্শ বা পাইলসের সার্জারী বা অপারেশন হলো একটি সাময়িক চিকিৎসা আদৌ কোন স্থায়ী চিকিৎসা নয়। পাইলসের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া, এ রক্ত সাধারণত টাটকা লাল হয়। তাছাড়া মলদ্বারে ব্যথা বা জ্বালা, মলদ্বারে মাংসপিণ্ড ফুলে ওঠা যাকে বলি বলা হয়ে থাকে, যা কখনও কখনও মলদ্বারের বাইরে ঝুলে পড়ে এবং হাত দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দিতে হয়। আর সেটাই কেটে সাময়িক সময়ের জন্য আরাম দেয়া হয়ে থাকে। তবে মলদ্বারে পাইলসের বলি ছাড়া অন্য আর কোন উপসর্গ না থাকলে সেক্ষেত্রে মাত্র ১-২% ক্ষেত্রে এই বলিগুলি কেটে দিলেই পেশেন্ট আরাম পেয়ে যায়।
সব ক্ষেত্রেই সার্জারী বা অপারেশন অর্শ বা পাইলস সারানোর কোন স্থায়ী উপায় নয়। কারণ এখানে মূল রোগটির কোন চিকিৎসা করা হচ্ছে না বরং মূল রোগ কর্তৃক সৃষ্ট একটি উপসর্গের চিকিৎসা করা হচ্ছে। তাছাড়া এই রকম জটিল সমস্যাগুলির মূলত হোমিওপ্যাথি ছাড়া স্থায়ী কোন চিকিৎসা হয় না। কারণ এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় রেজাল্ট অফ ডিজিসের চিকিৎসা করা হয় মূল রোগের কোন চিকিৎসাই করা হয় না।
সার্জারি ছাড়াই পাইলস বা অর্শ রোগ থেকে মুক্তির উপায়

সার্জারী বা অপারেশন করলেও অর্শ বা পাইলস আবার হয় কেন?

দেখা যায়, অর্শ বা পাইলস হওয়ার পেছনে বহু দিনের নানা প্রকার পেটের পীড়াকে সাধারণভাবে দায়ী করা হয়ে থাকে যদিও এই রোগ হওয়ার প্রকৃত কারণ হলো রোগীর DNA. বিস্তারিত দেখুন। আপনি বহু দিন যাবৎ পেটের পীড়া যেমন - আমাশয়, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, IBS, IBD ইত্যাদিতে ভুগছেন। আপনার পেটের অসুখ যেমন আমাশয়, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি দীর্ঘদিন থাকলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রেক্টামে বারবার চাপ সৃষ্টি হওয়ার ফলে সেখানে অর্থাৎ মলদ্বারের ভেতর বা বাহিরে শিরা ফুলে অর্শ বা পাইলসের বলি তৈরি হলো আর আপনি সার্জারি করে সেটিকে কেটে ফেলে কিছুটা সময়ের জন্য স্বস্তি পেলেন মাত্র আপনার মূল সমস্যা তো থেকেই গেলো।

অর্থাৎ যেহেতু আপনার পেটের অসুখের স্থায়ী চিকিৎসা না করে একটা লক্ষণ বা উপসর্গের চিকিৎসা করলেন তাই কিছুটা সময় পর আবার আপনার মলদ্বারের ভেতর বা বাহিরে শিরা ফুলে অর্শ বা পাইলসের বলি তৈরি হচ্ছে। গর্ভাবস্থায়ও অর্শ বা পাইলস তৈরী হতে পারে আবার এর কারণে মলদ্বার দিয়ে রক্তও যেতে পারে।

এখানে মূলত সার্জারী বা অপারেশন অর্শ বা পাইলস সারানোর কোন স্থায়ী উপায় নয় বরং জোড়াতালি মার্কা একটি সাময়িক আরাম দেয়ার চিকিৎসা মাত্র। আপনার পেটের সমস্যার স্থায়ী চিকিৎসা না করা হলে আপনি বার বার অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। আর এই রকম জটিল রোগ-ব্যাধির মূলত কোন স্থায়ী এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই। কারণ এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় রেজাল্ট অফ ডিজিসের চিকিৎসা করা হয় মূল রোগের কোন চিকিৎসাই করা হয় না। মূল রোগটি থাকে মানুষের DNA এর মধ্যে যা জন্মলগ্ন থেকেই মানুষ নিয়ে আসে। সেখানে যে True Disease টি প্রি-ডোমিনেন্ট অবস্থায় থাকে সেটিই শরীরে নানা প্রকার লক্ষণ ও উপসর্গ তৈরি করে থাকে আর সেই লক্ষণ ও উপসর্গগুলিকে রোগের নাম দিয়ে চিকিৎসা করে থাকে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্র। কিন্তু DNA তে বিদ্যমান True Disease কে প্রচ্ছন্ন করার কোন স্থায়ী ম্যানেজমেন্ট হোমিওপ্যাথি ছাড়া অন্য কোন প্যাথিতে নেই।

আর তাই এলোপ্যাথিসহ প্রায় সব বিসদৃশ চিকিৎসায় অর্শ বা পাইলসের মতো সমস্যাগুলি স্থায়ীভাবে ভালো হয় না ৯৫% ক্ষেত্রেই। ৫% ক্ষেত্রে পেটের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে চললে কিছুটা সুফল পাওয়া যায় মাত্র। তাছাড়া আপনি হয়তো দেখে থাকবেন, বিভিন্ন রোগ-ব্যাধিতে এলোপ্যাথিক চিকিৎসকরা ঔষধ খেয়ে যেতে বলে সারা জীবন ধরে। আর কিছু কিছু সমস্যায় সার্জারী করে রোগ লক্ষণ বা উপসর্গের চিকিৎসা দিয়ে সাময়িক আরাম দেয়ার চেষ্টা করা হয়ে থাকে মাত্র, নির্দোষ ভাবে রোগ আদৌ নির্মূল হয় না।

অর্শ বা পাইলসের সার্জারী বা অপারেশন জটিলতাগুলির মধ্যে রয়েছে - ঘন ঘন মল ত্যাগের প্রবৃত্তি সৃষ্টি হওয়া, মলদ্বার ফুটো হয়ে যাওয়া, ইনফেকশন ঝুঁকি ইত্যাদি। তবে পাইলস সার্জারী করার পর সেটি ৯৫% ক্ষেত্রেই আবার হয়ে যায়। অর্থাৎ যেহেতু মূল রোগের চিকিৎসা না করে মূল রোগটি সৃষ্ট একটি লক্ষণ বা উপসর্গের চিকিৎসা করা হচ্ছে তাই DNA তে বিদ্যমান True Disease টি আবার মলদ্বারে সেই লক্ষন ও উপসর্গ তৈরী করে থাকে। আর এই কারণে সার্জারী বা অপারেশন করেও Piles আদৌ সারানো যায় না।

অর্শ বা পাইলস সারানোর স্থায়ী উপায় কি?

বর্তমান বিশ্বে অর্শ বা পাইলস সারানোর একটি স্থায়ী উপায় হলো অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে সঠিক চিকিৎসা নেয়া। এই মেথডে চিকিৎসা দিলে বা নিলে যে কারণে পাইলস তৈরি হয়ে থাকে সেটি অর্থাৎ রোগীর DNA তে বিদ্যমান অর্শ বা পাইলসের লক্ষণ সৃষ্টিকারী True Disease টি প্রচ্ছন্ন হয়ে আসে তখন পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া, মলদ্বারে মাংসপিণ্ড ফুলে ওঠা, মলদ্বারে ব্যথা বা জ্বালার মতো উপসর্গগুলি স্থায়ী ভাবে দূর হয়ে যায় এবং তা আর ফিরে আসে না। তবে এই সমস্যার চিকিৎসা নিতে হলে আগে আপনাকে রিয়েল হোমিওপ্যাথিতে এক্সপার্ট একজন হোমিও চিকিৎসক খুঁজে বের করতে হবে যিনি ঠিকঠাক ভাবে আপনার কেইস টেকিং করে চিকিৎসা কার্যটি সম্পাদন করতে পারবেন। ধন্যবাদ।

যা যা জেনেছেন

  • পাইলস কি
  • পাইলস এর চিকিৎসা কোথায় ভালো হয়
  • অপারেশন ছাড়া পাইলস এর চিকিৎসা
  • পাইলস অপারেশন
  • পাইলস অপারেশন এর খরচ
  • পাইলস এর চিকিৎসা
  • পাইলস এর ডাক্তার ঢাকা
  • পাইলস সারানোর উপায়
  • পাইলস চিকিৎসা
  • অর্শ রোগের হোমিও ঔষধ
  • piles center dhaka
  • piles doctor specialist
সার্জারি ছাড়াই পাইলস বা অর্শ রোগ থেকে মুক্তির উপায় Dr. Delowar Jahan Imran 5 of 5
অর্শ বা পাইলস সারানোর উপায় এবং সার্জারী বা অপারেশন ছাড়া পাইলস এর চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি এবং সাথে যে জিনিসটি প্রয়োজন সেটি হলো ব্যক্তির জী...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন