অর্শ বা পাইলস হলে কি কি সমস্যা হয় এই রোগের কারণ কারণ জটিলতা ও প্রতিকার। পাইলসকে আমরা হেমোরয়েড বা অর্শ রোগ বলে থাকি। মলদ্বারের রোগগুলির মধ্যে এটি একটি জটিল প্রকৃতির সমস্যা। পাইলস ক্রমান্বয়ে আকারে বেড়ে গিয়ে নিচে নেমে আসে। পুরনো ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে চাপ খেয়ে পায়ুপথের বিভিন্ন স্থানে রক্তের শিরা ফুলে ক্রমশ নিচের দিকে নামতে থাকে বা বলির সৃষ্টি করে থাকে। এর আবার বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। পাইলস ব্যথাহীন হলেও প্রচুর রক্তপাত হতে পারে। জীবন যাত্রার পরিবর্তন এবং সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দিয়ে অধিকাংশ পাইলসই সারানো সম্ভব। মাত্র কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন করে পাইলস এর বলি কেটে ফেলা হয়।
গর্ভকালীন সময়ে, পায়ুপথে যৌনক্রিয়া, যকৃত রোগ বা লিভার সিরোসিস ইত্যাদি কারণেও এ রোগের আশংকা বেড়ে যায়। সর্বোপরি পোর্টাল ভেনাস সিস্টেমে কোনো ভাল্ব না থাকায় উপরিউক্ত যে কোন কারণে পায়ু অঞ্চলে শিরাগুলোতে চাপের ফলে পাইলস সৃষ্টি হয়। তবে এইগুলি পাইলস এর প্রকৃত কারণ নয়।
আগেই বলেছি, জীবন যাত্রার পরিবর্তন এবং সঠিক হোমিওপ্যাথিক দিয়ে অধিকাংশ পাইলসই সারানো সম্ভব। মাত্র কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন করে পাইলস এর বলি কেটে ফেলা হয়। তাই এই সমস্যায় রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন এবং সঠিক চিকিৎসা নিন। ব্যথাহীন বা ব্যথা ও জ্বালাযুক্ত যে ধরণের অর্শ বা পাইলসই হোক না কেন আপনি ভালো ফলাফল পাবেন ইনশা-আল্লাহ।
অর্শ বা পাইলসের কারণ
সাধারণতঃ পাইলস হওয়ার পেছনে যে বিষয়গুলি ভূমিকা পালন করে সেগুলির মধ্যে রয়েছে দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিণ্যে ভোগা, পুরনো ডায়রিয়া, মলত্যাগে দীর্ঘক্ষণ টয়লেটে বসে থাকা ও দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা ইত্যাদি। এছাড়া পারিবারিক ইতিহাস, আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া, ভারি মালপত্র বহন করা, স্থুলতা, কায়িক শ্রম কম করা।গর্ভকালীন সময়ে, পায়ুপথে যৌনক্রিয়া, যকৃত রোগ বা লিভার সিরোসিস ইত্যাদি কারণেও এ রোগের আশংকা বেড়ে যায়। সর্বোপরি পোর্টাল ভেনাস সিস্টেমে কোনো ভাল্ব না থাকায় উপরিউক্ত যে কোন কারণে পায়ু অঞ্চলে শিরাগুলোতে চাপের ফলে পাইলস সৃষ্টি হয়। তবে এইগুলি পাইলস এর প্রকৃত কারণ নয়।
মূলতঃ এই সমস্যা হওয়ার পেছনে যে বিষয়টি বেশি দেখা যায় তাহলো দীর্ঘস্থায়ী পেটের অসুখ। আর যে প্রকৃত রোগটি এর পেছনে বেশি দায়ী থাকে তা হলো Tubercular Miasm যেটি হলো Psoric Miasm (Psora) এবং Syphilitic Miasm (Syphilis) এর মিলিত ফল। তাই হোমিওপ্যাথিক নিয়মে সেগুলির চিকিৎসা দিলে সময়ের ব্যবধানে অর্শ বা পাইলস রোগ নির্মূল হয়ে যায়।

পাইলস হলে কি কি সমস্যা হয়
অর্শ বা পাইলসের কারণে পায়ুপথে বিভিন্ন কষ্টকর লক্ষণ বা উপসর্গের সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে-
- মলদ্বার বা পায়ূপথে ব্যথা।
- মলদ্বারের চারপাশে চুলকানি।
- মলদ্বারে জ্বালাপোড়া।
- মল সাথে বা মলত্যাগের পর রক্ত যাওয়া।
- মলদ্বারের চারপাশে শক্তভাব ।
- মলত্যাগের সময় ব্যথাহীন রক্তপাত।
- মলদ্বারের কাছে বেদনাদায়ক বলি।
- বসার সময় ব্যথা বা অস্বস্তি।
- মলদ্বারে রক্তক্ষরণ।
- পায়খানার রাস্তা দিয়ে পিচ্ছিল পদার্থ আসা।
পাইলসের কি কি জটিলতা হতে পারে
বার বার অপারেশন না করলে পাইলস সাধারণত বিপজ্জনক জটিলতার দিকে পরিচালিত করে না। কয়েকটি জটিলতা হল:
- রক্তস্বল্পতা, যদি রক্তপাত দীর্ঘায়িত হয়।
- থ্রম্বোসিস (হেমোরয়েডে রক্ত জমাট বাঁধা) দ্বারা সৃষ্ট তীব্র ব্যথা।
- সেকেন্ডারি ইনফেকশন, ফোড়া বা আলসারেশন।
- বারবার অপারেশন করলে ক্যান্সার হতে পারে।
অর্শ বা পাইলস নিরাময়ের উপায়
যা যা জেনেছেন
- পাইলস কিভাবে ভালো হয়
- পাইলসের ঔষধ
- পাইলস হলে কি কি সমস্যা হয়
- অর্শ রোগের চিকিৎসা
- অর্শ রোগের লক্ষণ
- অর্শ রোগের অপারেশন
- অর্শ রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
- অর্শ নিরাময়ের উপায়
- পায়খানার রাস্তা চুলকায় কেন
- পায়খানার রাস্তা ফুলে যায় কেন
- পায়খানার রাস্তায় ঘা হলে করণীয়
- পায়খানার রাস্তা দিয়ে পিচ্ছিল
- পায়খানার রাস্তা ব্যাথা করে কেন
- পায়খানার সাথে রক্ত পড়া কিসের লক্ষণ
- পায়খানার রাস্তায় ব্যথা হলে করণীয়
- পাইলস এর ফোলা কমানোর উপায়
- পাইলস এর চিকিৎসা কোথায় ভালো হয়
- পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায়
- পাইলস এর আধুনিক চিকিৎসা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন