শনিবার, ৯ জুলাই, ২০২২

ল্যাপারোস্কোপিক অপারেশন ছাড়াই পিত্তথলির পাথর দূর করার উপায়

পিত্তথলির পাথর ল্যাপারোস্কোপিক অপারেশন খরচ কত বা গলব্লাডারে পাথর হলে কি খাওয়া উচিত ইত্যাদি বিষয় চিন্তা না করে খুব সহজেই ঔষধের মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি এ সংক্রান্ত জটিলতা দূর করার উপায় সম্পর্কে বলবো আজকের পর্বে সাথে থাকছে এ সংক্রান্ত ভিডিও। ঢাকা চট্টগ্রাম বা দেশের বহু জায়গায় আপনি কিছু রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক খুঁজে পাবেন যারা এই সমস্যা নির্মূলের প্রায় অব্যর্থ চিকিৎসা দিতে জানেন। 

তাই এই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীকে প্রথমেই একজন এক্সপার্ট হোমিও চিকিৎসক খুঁজে বের করতে হবে যিনি এই রোগের ঠিকঠাক চিকিৎসা দিতে জানেন। কারণ বহু রোগীই বলে থাকেন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ খেয়েছি কিন্তু সমস্যা যায়নি। অথচ তারা কিন্তু দক্ষ একজন হোমিও ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা নেননি, নিজের মতো করে ঔষধ কিনে খেয়েছেন। ফলশ্রুতিতে যা হওয়ার তাই হয়েছে।
পিত্তথলির পাথর দূর করার কার্যকর উপায় হলো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা। তবে মাত্র ১%-২% ক্ষেত্রে এর বিকল্প হতে পারে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি। অপারেশনের মাধ্যমে মূলতঃ পিত্তথলি কেটে ফেলে দেয়া হয়। তাই পিত্তপাথরী সমস্যায় বিশেষজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক খুঁজে বের করুন এবং চিকিৎসা নিন। আশানুরূপ ফলাফল পাবেন ইনশা-আল্লাহ। 
ল্যাপারোস্কোপিক অপারেশন ছাড়াই পিত্তথলির পাথর দূর করার উপায়
অনেকেরই ধারণা, হোমিও ঔষধ খেলেই রোগ সেরে যাবে। বিষয়টি কিন্তু তা নয়। অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার দেখিয়ে আপনাকে চিকিৎসা নিতে হবে। একই রোগের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিলে একেক জনের কনস্টিটিউশন অনুযায়ী একেক রকম ঔষধ আসবে। যেটি হোমিওপ্যাথিক নিয়মে প্রপার একটি ইনভেস্টিগেশন করে দক্ষ একজন হোমিও চিকিৎসক সিলেক্ট করবেন এবং সেটির নির্দিষ্ট পোটেন্সি রোগীর শরীরে প্রয়োগ করবেন। আপনি নিজের মতো করে কিছু লক্ষণ মিলিয়ে একটি হোমিও ঔষধ সিলেক্ট করে আপনার শরীরে প্রয়োগ করলে হয়তো কিছু সময়ের জন্য কিছুটা আরাম পাবেন কিন্তু রোগ আদৌ নির্মূল হবে না। আর সেই বোকামিটিই অনেকে করে থাকে।

পিত্তথলির পাথর দূর করতে ল্যাপারোস্কোপিক পদ্ধতিতেও সম্পূর্ণ পিত্তথলিকে কেটে ফেলে দেয়া হচ্ছে আর এর ফলে পরবর্তীতে বেশির ভাগ রোগীরাই পেটের ভীষণ জটিলতায় ভুগে থাকে। অপারেশন বা অস্ত্রোপচারের পর কিছু কিছু রোগী দৃশ্যমান আরোগ্য লাভ করলেও এদের মধ্যে অনেক রোগী পরবর্তীতে ক্যান্সার, জন্ডিস, বি-ভাইরাস ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে আপনি হয়তো সার্জারি চিন্তা করতে পারেন যা মাত্র ১%-২% রোগীর ক্ষেত্রে হতে পারে। কারণ অধিকাংশ কেইস প্রপার হোমিও চিকিৎসায় ঠিক হয়ে যায়।

পিত্তথলিতে পাথর হলে এর চিকিৎসার জন্য রেজিস্টার্ড এবং দক্ষ একজন হোমিও চিকিৎসক খুঁজে বের করুন যিনি প্রপার কেইস টেকিং এবং হোমিওপ্যাথিক নিয়মে ইনভেস্টিগেশন করে যথাযথ চিকিৎসা দিতে পারেন। দক্ষ চিকিৎসক নির্বাচন করে চিকিৎসা নিতে পারলে আপনি সুনিশ্চিত ফলাফল পাবেন ইনশা-আল্লাহ। কারণ পিত্তথলির পাথর সংক্রান্ত যাবতীয় জটিলতা নির্মূলের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথির সাফল্যের হারই বেশি। তবে এক্ষেত্রে প্রপার ইনভেস্টিগেশনের জন্য রোগীর পূর্ব রোগের ইতিহাস, তার পিতা-মাতা, দাদা-দাদী এবং নানা-নানীর হিস্ট্রি জানা প্রয়োজন যা চিকিৎসক কেইস টেকিং এর সময় জেনে নিবেন। পিত্তথলির পাথর সমস্যায় শুরুতেই অপারেশন করার চিন্তা না করে আগে মেডিসিন প্রয়োগ করে সারানোর চেষ্টা করা উচিত।

যা যা জেনেছেন 

  • পিত্তথলির পাথরের চিকিৎসা
  • গলব্লাডার না থাকলে কি হয়
  • পেটে পাথর হলে কি খেলে ভালো হবে
  • পিত্তথলির পাথর অপারেশনের পর করণীয়
ল্যাপারোস্কোপিক অপারেশন ছাড়াই পিত্তথলির পাথর দূর করার উপায় Dr. Delowar Jahan Imran 5 of 5
পিত্তথলির পাথর ল্যাপারোস্কোপিক অপারেশন খরচ কত বা গলব্লাডারে পাথর হলে কি খাওয়া উচিত ইত্যাদি বিষয় চিন্তা না করে খুব সহজেই ঔষধের মাধ্যমে খুব ত...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন