পিত্তথলির পাথর গলানোর হোমিওপ্যাথি ঔষধ খুঁজে চলেছেন অনেকেই। কিন্তু জানেন কি ইন্টানেট সার্চ দিয়ে নিজের মতো করে কিছু হোমিও ঔষধ খেয়ে গেলেই জটিল এই সমস্যা থেকে আদৌ আপনি মুক্তি পাবেন না। তবে হ্যা, এ সংক্রান্ত জটিলতায় কিছুটা আরাম পেতে পারেন। পূর্ণাঙ্গ রোগ মুক্তির জন্য প্রথমেই আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক খুঁজে বের করতে হবে যিনি এই সমস্যার সুচিকিৎসা দিতে জানেন।
তাই পিত্তথলিতে পাথর হলে এর চিকিৎসার জন্য রেজিস্টার্ড এবং দক্ষ একজন হোমিও চিকিৎসক খুঁজে বের করুন যিনি প্রপার কেইস টেকিং এবং হোমিওপ্যাথিক নিয়মে ইনভেস্টিগেশন করে যথাযথ চিকিৎসা দিতে পারেন। যেহেতু আপনার শরীরে শক্তিকৃত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রয়োগ করা হবে তাই হোমিওপ্যাথিক নিয়মে আপনার ইনভেস্টিগেশন করা হবে, এলোপ্যাথিক নিয়মে নয়।
বহু হোমিও চিকিৎসক ইতিপূর্বে বলে আসছেন, পিত্তথলিতে পাথর হলে হোমিওপ্যাথিতে অধিকাংশ রোগীই আরোগ্য হয় না এবং এর জন্য সার্জারি বা অপারেশন করা উচিত। কিন্তু আধুনিক রিয়েল হোমিওপ্যাথি ভিন্ন কথা বলছে। দেখা যাচ্ছে, প্রপার কেইস টেকিং করে যথাযথ চিকিৎসা দিলে রোগীর যাবতীয় জটিল উপসর্গ কিছু দিনের মধ্যেই দূর হয়ে যাচ্ছে এবং ধারাবাহিক চিকিৎসায় পিত্তথলির পাথরের সমস্যা পুরুপুরি নির্মূল হয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই।

তাই জেনে রাখুন যেসব হোমিও ডাক্তাররা বলে থাকে পিত্তথলির পাথর হোমিওপ্যাথিতে ভালো হয় না তারা মূলতঃ হোমিওপ্যাথিক প্রপার চিকিৎসা জানে না বরং আপনি দেখবেন কিছু গদবাধা হোমিও ঔষধ যেমনঃ কোলেস্টেরিনাম, কার্ডুয়াস মেরিয়েনাস, ক্যালকেরিয়া কার্ব, মার্ক সল, আর্ণিকা, চেলিডোনিয়াম, চায়না, ডিজিটেলিস, আর্সেনিক এল্ব, ফসফরাস, ব্রায়োনিয়া, হাইড্রাসটিস, ডায়োঙ্কোরিয়া ইত্যাদি রোগীকে ক্রমাগত প্রয়োগ করে করে ব্যর্থ হয়ে বলছে রোগী আর ভালো হবে না তাই অপারেশন করুন!
ভালো করে জেনে রাখুন, কিছু ক্ষেত্রে এই ঔষধগুলি প্রয়োগ করে রোগীর যন্ত্রনা কিছুটা কমলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সমস্যা আদৌ নির্মূল করে না।
এক্ষেত্রে দক্ষ একজন হোমিও চিকিৎসক নির্বাচন করে চিকিৎসা নিতে পারলে আপনি সুনিশ্চিত ফলাফল পাবেন ইনশা-আল্লাহ। কারণ পিত্তথলির পাথর এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় জটিলতা নির্মূলের ক্ষেত্রে বর্তমান বিশ্বে একমাত্র হোমিওপ্যাথির সাফল্যের হার সবচাইতে বেশি। তবে এক্ষেত্রে প্রপার ইনভেস্টিগেশনের জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলিও জানা প্রয়োজন-
- প্রথমত রোগীর বর্তমান কষ্টের বর্ণনা
- বর্তমান কষ্টের সম্পর্কযুক্ত লক্ষণ, কখন এবং কিসে বাড়ছে বা কমছে
- রোগীর পূর্ব রোগের ইতিহাস - ইতিপূর্বে কি কি রোগে কষ্ট করেছেন
- রোগীর শৈশবের জীবনদর্শন
- জন্মের সময় কোন প্রকার সমস্যা হয়েছিল কিনা বা সিজারিয়ান ডেলিভারী লেগেছিল কিনা
- জন্মের পর পর কি কি স্বাস্থ সমস্যায় ভুগতে হয়েছিল
- শিশুকালে কি কি অসুখ-বিসুখে কষ্ট করতে হয়েছিল
- রোগীর বা তার পিতা-মাতার কারো কোন প্রাণীর কামড়-আঁচড়ের হিস্ট্রি আছে কিনা
- অথবা কোন প্রাণীর কামড়-আঁচড়ের ফলে ভ্যাক্সিন নিয়েছিল কিনা
- তার পিতা-মাতা, দাদা-দাদী এবং নানা-নানী কে কোন কোন অসুখ-বিসুখে ভুগেছেন
- মাতার প্রথম মাসিকে কোন কষ্ট ছিল কিনা
- মাতার প্রথম মাসিকের পূর্বে সাদাস্রাবের কোন দোষ ছিল কিনা
- সন্তান হচ্ছে না বলে রোগীর জন্মের পূর্বে মাতাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল কিনা
- মাতা দীর্ঘ দিন যাবৎ প্রজননতন্ত্রের কোন রোগে কষ্ট করেছেন কিনা
- কারো কোন নেশাদ্রব্য গ্রহণ করার হিস্ট্রি আছে কিনা
- দীর্ঘকাল যাবৎ পরিবারের কারো কোন রোগে ভুগার হিস্ট্রি আছে কিনা
- বংশে টিবি বা যক্ষা রোগের হিস্ট্রি আছে কি না
ইত্যাদি আরো বহু বিষয় চিকিৎসক কেইস টেকিং এর সময় জেনে নিবেন। পেশেন্টকে অবশ্যই ঠিকঠাক তথ্যদি দিয়ে চিকিৎসককে সাহায্য করতে হবে। কারণ তার মধ্যে বিদ্যমান True diseases খুঁজে বের করে তার আলোকে যথাযথ চিকিৎসা দিলে অতি দ্রুত আশানুরূপ রেজাল্ট পাবেন ইনশা-আল্লাহ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন