পিত্তথলির পাথর হলে এর ফলে কি কি লক্ষণ এবং জটিলতাগুলি সৃষ্টি হতে পারে এ সম্পর্কে আলোকপাত করবো এই পর্বে। যেকারো পিত্তথলি বা গলব্লাডারে পাথর হলে প্রদাহ হতে পারে। যার অন্যতম লক্ষণ তৈলাক্ত খাবার ভালোভাবে হজম না হওয়া। পিত্তথলিতে পাথর হলে অনেক ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। তবে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই পিত্তপাথর হওয়ার পরও কোন লক্ষণ থাকে না। পিত্তথলিতে পাথর এবং এ সংক্রান্ত নানা প্রকার জটিলতা থেকে প্রপার হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই রেহাই পেতে পারেন। 

পিত্তথলিতে পাথর হলে তার লক্ষণ
- উপরের পেটের ডান দিকে তীব্র ব্যথা যা ডান কাঁধে ছড়ায়।
- মধ্য পেটে ব্যথা হয়।
- পিঠের মধ্যভাগে ব্যথা হয়।
- কারো আবার মধ্য পেটে ব্যথা হয়ে একেবারে পেছন দিকে চলে যায়।
- বদহজম হয়, বিশেষ করে চর্বি ও তেলজাতীয় খাবারে।
- বমি ও বমিবমি ভাব হতে পারে।
- খাওয়ার পর গলায় তেতো ভাব।
- বারবার ঢেঁকুর হওয়া।
- পেটে গ্যাস।
- ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা।
- পায়খানার রং সাদা সাদা হয়।
- মাথা ঝিমঝিম করা।
- মাথাব্যথা, বিশেষ করে ডান পাশে।
- অনেক সময় কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে।
- জ্বরের সঙ্গে বমি হতে পারে।
- জ্বরের সঙ্গে জন্ডিস হতে পারে। এ ক্ষেত্রে যা হয় তা হলো পাথর হয়তো পিত্তনালিতে চলে যায়।
পিত্তপাথরের জটিলতা
পিত্তথলিতে পাথরের জটিলতা নিম্নরুপঃ- গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে প্রদাহ।
- জন্ডিস এবং এর সাথে পিত্তনালীতে প্রতিবন্ধকতা।
- অগ্ন্যাশয়ের নালীর প্রতিবন্ধকতা
- অগ্ন্যাশয় প্রদাহ অর্থ্যাৎ প্যানক্রিয়েটাইটিস।
- গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়বে।
পিত্তথলিতে পাথর নিরাময়ের উপায়
এই যন্ত্রনাদায়ক সমস্যা হোমিও চিকিৎসাতেই সেরে যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। তাই অপারেশন বা সার্জারির আদৌ কোন প্রয়োজন পড়ে না। তবে এর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন রেজিস্টার্ড এবং দক্ষ হোমিও চিকিৎসক যিনি এই সমস্যার প্রপার ট্রিটমেন্ট দিতে জানেন। দক্ষ চিকিৎসক নির্বাচনে ব্যর্থ হলে আপনি এই সমস্যা থেকে আরোগ্য লাভ করতে প্রায় শত ভাগ বিফল হবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন