নবজাতক অথবা ছোট্ট শিশুদের নানা কারণে খিঁচুনি হতে পারে। চিকিৎসা দেয়ার সময় আমরা হিস্ট্রি নিয়ে যা দেখেছি এর মধ্যে রয়েছে- পোস্ট ট্রমা সিনড্রোম, পোস্ট রেবিস সিনড্রোম, জন্মের পূর্বে মায়ের ভয় পাওয়ার ইতিহাস, জন্মের পর শিশুর নানা প্রকার রোগে লাগাতার এলোপ্যাথিক ঔষধ প্রয়োগের কুফল, ছোট্ট বাচ্চার নিজের ভয় পাওয়ার ইতিহাস ইত্যাদি। প্যাথলজি চিন্তা করলে মূলতঃ মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজে প্রতিবন্ধকতা পাওয়া যায়। আর এই প্রতিবন্ধকতা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সৃষ্টি হয় উপরিউক্ত কারণে।

শিশুর খিঁচুনি হওয়ার কারণগুলি কি কি?
- পোস্ট ট্রমা সিনড্রোম
- পোস্ট রেবিস সিনড্রোম
- সিফিলিটিক দোষ যা পূর্বপুরুষ থেকে প্রাপ্ত হয়
- জন্মের পূর্বে মায়ের ভয় পাওয়ার ইতিহাস
- এলোপ্যাথিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- ছোট্ট বাচ্চার নিজের ভয় পাওয়ার ইতিহাস
- জন্মগত ত্রুটি, মস্তিষ্কের টিউমার, মস্তিষ্কের বিকাশের প্যাথলজি ইত্যাদি
শিশুর খিঁচুনির লক্ষণসমূহ কি কি?
সাধারণতঃ নবজাতকের খিঁচুনির বৈশিষ্ট্য বড়দের মতো হয় না। কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের এই সমস্যার স্থায়িত্ব এত কম থাকে যে সেটা টের পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। চোখের পাতার কাঁপুনি, ঠোঁট-মুখের অস্বাভাবিক সঞ্চালন, হাত ও পায়ের সাইকেল চালনার মতো নড়াচড়া, শ্বাসরোধ অবস্থা, ঠোঁট বা জিহ্বার রং নীল বর্ণ ধারণ করা মতো উপসর্গ খিঁচুনির নির্দেশক হতে পারে। এছাড়াও বয়স ভেদে যে লক্ষণ ও উপসর্গ প্রকাশ পেতে পারে -- অতি উচ্চ তাপমাত্রার জ্বরের সঙ্গে শিশু জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে
- চোখ পিটপিট করা, এক দৃষ্টিতে তাকানো অথবা চোখ উল্টে যাওয়া
- শরীর, বিশেষ করে হাত ও পা কাঁপতে পারে
- প্রস্রাব-পায়খানার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে
- মাংসপেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে বা কাপতে পারে
- শিশুর মুখ লাল বা নীল হয়ে যেতে পারে
- খিঁচুনি কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে
- খিঁচুনি থেমে গেলে শিশুর জ্ঞান ফিরে আসে
শিশুর খিঁচুনির চিকিৎসা কি?
শিশুর খিচুনি রোগের প্রকৃত কারণ নির্ণয়ের জন্য তার জন্মের পূর্বের এবং জন্মের পরের বিস্তারিত বিষয়াদি তার পিতামাতার কাছ থেকে জেনে নিবেন অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসক। এছড়াও তার পিতা-মাতা, দাদা-দাদি, নানা-নানীর হিস্ট্রিও জানতে হবে। কে কোন কোন রোগে কষ্ট করেছেন এবং কে কোন কোন রোগে মৃত্যু বরণ করেছেন সবকিছু জেনে নিবেন চিকিৎসক। হোমিওপ্যাথিক নিয়মে প্রপার একটি ইনভেষ্টিগেশন করে প্রকৃত সমস্যাটি চিহ্নিত করে চিকিৎসা দিলেই খিচুনির মতো সমস্যা থেকে শিশু মুক্তি লাভ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। এর জন্য অভিজ্ঞ এবং রেজিস্টার্ড একজন হোমিও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে সুচিকিৎসা নিন। ধন্যবাদ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন